আজকের ভিডিওতে আপনাদেরকে জানাবো “চীন ও আমেরিকার চলমান লড়াইয়ে কোন পক্ষে থাকা উচিৎ মুসলিমদের? উইগুর সমস্যার কারন ও এই সমস্যা সমাধানের উপায় কি? চীন ও পশ্চিমাদের বিশ্ব মোড়লগিরির এই লড়াইয়ের ফলে কেমন হবে আগামী দিনের মুসলিম বিশ্ব? আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসলে চীনের সাথে বন্ধুত্ব করা কেন জরুরী?
আর যারা বিশ্বের সকল দেশ, জিওপলিটিক্স ও ইসলামিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি। এবার যাওয়া যাক মূল ভিডিওতে।
“চীন ও আমেরিকার চলমান লড়াইয়ে কোন পক্ষে থাকা উচিৎ মুসলিমদের?
বর্তমান বিশ্বে সুপার পাওয়ার হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে চীন ও আমেরিকা। ১ম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সুপার পাওয়ার হিসেবে আবির্ভূত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৭৯ সাল থেকে শুরু হওয়া ১০ বছরের আফগান সোভিয়েত যুদ্ধের মাধ্যমে পতন ঘটে সোভিয়েত ইউনিয়নের। এরফলে গত ৩০ বছর আমেরিকাই ছিল সারা বিশ্বের একমাত্র সুপার পাওয়ার।
কিন্তু চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির উত্থানের ফলে গত ২০১০ সালের পর বিশ্ব রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে চীন। এসব কারনে পশ্চিমারা উঠেপরে লেগেছে চীনের উত্থানকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য। আর পশ্চিমারা চীনের উত্থানকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য পাশে চাচ্ছে মুসলিম বিশ্বকে। মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারকদের মতে ইরান পাকিস্তান ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কের সাহায্য বেতিত চীনের উত্থান আটকানো প্রায় অসম্ভব।
এসকল কারনে পশ্চিমা সিভিলাইজেশনের নেতা আমেরিকা ও ন্যাটো জোট সিধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে তারা ইসলামিক সিভিলাইজেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বন্ধ রাখবে। আর তাদের বর্তমান টার্গেট হচ্ছে চীন। তারা এখন চাইবে মুসলিমরাও যেন চীনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ে। তাই তারা সারা বিশ্বে উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। মুলত এসব কারনেই আমেরিকা আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে নিজেদের সামরিক বাহিনী সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে মুসলিমদের সতর্ক থাকতে হবে।
চীনের উইঘুর মুসলিমদের সমস্যার শুরুও হয়েছে আমেরিকার কারনে। সমগ্র চায়নাতে ১ সন্তান পলিসি থাকলেও এই পলিসি জিঞ্জিয়াং ও ইনার মঙ্গোলিয়ায় উইঘুর মুসলিম ও মঙ্গোলদের উপরে প্রযোজ্য ছিল না। উইঘুর, ইনার মঙ্গোলিয়া ও তিব্বত চীনের অংশ হলেও এই ৩টি প্রদেশ ছিল স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। বর্তমানে সমস্যা শুরু হয় আমেরিকা যখন আফগানিস্তান থেকে উইঘুরের মুসলিমদেরকে অস্ত্র সাপ্লাই দিতে থাকে চীনের বীরুধে বিদ্রোহ করার জন্য। আমেরিকার ফাঁদে পা দেওয়া ছিল এসব বিদ্রোহী উইঘুর মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ভুল। এসব বিদ্রোহীরা চীনের ভিতরে বিভিন্ন যায়গায় বোমা হামলা করার কারনেই চীন কঠোর অবস্থান গ্রহন করে।
চীনের জিঞ্জিয়াং বা পূর্ব তুর্কীস্তানে প্রায় ২ কোটি মুসলিম বসবাস করে, এদেরমধ্যে যেসব এলাকা বা গ্রাম থেকে কয়েকজন লোক চীনের বীরুধে বিদ্রোহ করেছে, চীন সরকার ঐ গ্রাম বা এলাকার সকল বাসিন্দাদেরকে জেলে ডুকিয়েছে। বর্তমানে চীনের জিঞ্জিয়াং প্রদেশে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ উইঘুর মুসলিম বন্ধী আছে বিভিন্ন ক্যাম্পে। এসব ক্যাম্পে মুসলিমদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে অনইসলামিক পোশাক পরিধান করতে। নানা ভাবে অত্যাচার করা হয় এসব বন্দী মুসলিমদের উপরে। খুন ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটেছে এসব ক্যাম্পে। জিঞ্জিয়াঙ্গের উইঘুর মুসলিমদের উপরে করা চীনের অত্যাচার অনেকটা সোভিয়েত আমলে মুসলিমদের উপরে করা অত্যাচারের মতো।
অপরদিকে বর্তমান ভারতের উত্তর প্রদেশের মুসলিমরাও চীনের উইঘুর মুসলিমদের মত অত্যাচারের স্বীকার হচ্ছে। ভারতে ১৫ শতাংশ মুসলিম থাকলেও সরকারি চাকরীতে মুসলিমদের সংখ্যা মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ। দিল্লী রায়ট, আসামের NRC, গুজরাট রায়ট, কাশ্মির, এগুলোর উদ্দেশ্য চীনের থেকেও কয়েক গুন ভয়ংকর। বিজেপি, যোগী আদিত্তনাথ ও RSS চায় ভারত থেকে সকল মুসলিমদের বের করে দিতে নয়তো গুলি করে মেরে ফেলা হবে তাদেরকে। আর সাধারণ ভারতীয়রা তাদেরকেই নির্বাচনে ভোট দেয়ে। অথচ পশ্চিমাদের কাছে ভাতর হচ্ছে বন্ধু আর চীন হচ্ছে শত্রু।
কাজেই বাংলাদেশের মুসলিমদের উচিৎ উইঘুর মুসলিমদের বিষয়টি নিয়ে আরও বেশী কৌশলী অবস্থান নেওয়া। এমন ভাবে চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া দরকার যাতে আমেরিকার কোন সুবিধা না হয় আরও চীনও উইঘুর মুসলিমদের উপরে অত্যাচার বন্ধ করতে বাধ্য হয়। দয়া করে কেউ আমেরিকান প্রোপাগণ্ডা নিউজে বিশ্বাস করে চীনের বীরুধে যাবেন না। আমেরিকা ও পশ্চিমারা সারা বিশ্বে প্রায় কোটি মুসলিমকে বোমার আঘাতে হত্যা করেছে জীবন্ত পুড়িয়ে। কয়েক কোটি মুসলিমকে করেছে ঘরবাড়ি ছাড়া। গত ৩০০ বছর পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা হত্যা করে কয়েক কোটি মুসলিমকে। লুটপাট চালিয়েছে সমগ্র বিশ্বের মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে।
আজ যেই আমেরিকা উইঘুরদের জন্য মায়াকান্না করেছে, সেই আমেরিকা ২০১৮ সালে বার্মার সাথে সামরিক মহড়া চালিয়েছে জঙ্গিবাদ দমনের কৌশল শিখানোর নামে। অথচ তখন রোহিঙ্গাদের বীরুধে বার্মিজ সেনাদের অত্যাচারের কারনে সারা বিশ্ব অবস্থান নিয়েছিল বার্মার বীরুধে।
আশাকরি সকল মুসলিমরা আবেগের বসে সিধান্ত না নিয়ে বাস্তবতা, ইতিহাস ও ফিউচারে কি হতে পারে এসব লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন মুসলিমদের ও ইসলামিক সিভিলাইজেশনের আসল শত্রু হচ্ছে আমেরিকা ও পশ্চিমারা, বর্তমান কালের চীন নয়। মুসলিম দেশের ভিতরে কারা নাস্তিকদের সাপোর্ট দেয়ে, কারা মুসলিম দেশের ভিতরে সমকামিতা প্রচার করে, কারা মুসলিম দেশের ভিতরে পুতুল সরকার তৈরি করে, কারা সারা বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের জঙ্গি বলে প্রচার করে? কারা ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে প্রচার করে? এক কথায় এই সকল কুকাম গুলয়ই করে থাকে পশ্চিমারা, বর্তমান কালের চীন নয়।
বর্তমানে মুসলিম বিশ্ব রয়েছে দুর্বল অবস্থানে, মুসলিমদের ক্ষমতা নেই একই সময়ে আমেরিকা ইউরোপ চীন, ভারত ও রাশিয়ার বীরুধে অবস্থান নেওয়ার। কাজেই মুসলিমদেরকে নিতে হবে কৌশলী অবস্থান। এই মুহূর্তে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় শত্রু পক্ষ হচ্ছে পশ্চিমারা। কারন এরা মুসলিম দেশের ভিতরে নাস্তিক শাসন বেবস্থায় মদদ দেয়ে। কোন ইসলামিক দল ক্ষমতায় আসলে অবরোধ দেয়ে ঐ দেশের উপরে যেমনটা বর্তমান ইরান ও পাকিস্তান। হামলা চালানো হয় ঐ দেশের উপরে যেমনটা ইরাক ও লিবিয়ার উপরে হামলা করেছিল পশ্চিমারা। মুসলিম নেতাদের গুপ্ত হত্যার পাশাপাশি সেনাবিদ্রোহ করায়ও মদদ দিয়ে থাকে পশ্চিমারা যেমনটা করা হয়েছে মিশর ও তুরস্কে। মোট কথা মুসলিম বিশ্বে ইসলাম বিরোধী সরকার বেবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য সবকিছুঁই করে থাকে পশ্চিমারা।
মুসলিম রাষ্ট্র নেতাদের উচিৎ উইঘুর মুসলিমদের বিষয়ে চীনের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বেবস্থা করা। উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে যারা চীনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে এদের সাথে চীন সরকারের আলোচনার বেবস্থা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা।
জিঞ্জিয়াং এর উইঘুর মুসলিমদের সমস্যাটির সমাধান এমন হওয়া চাই যে, উইঘুর মুসলিমরা চীনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে না। বিনিময়ে চীন সরকারও ফিরিয়ে দিবে জিঞ্জিয়াঙ্গের স্বায়ত্তশাসন বেবস্থা। এর ফলে দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সমস্যার সমাধান হবে আশাকরা যায়। জিঞ্জিয়াং এর মুসলিমদের বুঝতে হবে এই মুহূর্তে চীনের বিরুদ্ধে গিয়ে যুদ্ধের মাধ্যমে আলাদা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া প্রায় অসম্ভম।
চীন ও পশ্চিমাদের বিশ্ব মোড়লগিরির এই লড়াইয়ের ফলে কেমন হবে আগামী দিনের মুসলিম বিশ্ব?
চীন ও পশ্চিমাদের বিশ্ব মোড়লগিরির এই লড়াইয়ের ফলে অনেকটাই সুবিধা হবে মুসলিম বিশ্বের। গত ৩০ বছর পশ্চিমারা তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে মুসলিম দেশের ভিতরে তাদের পাচাটা দালাদেরকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে। এখন চায়নার উত্থানের ফলে পশ্চিমারা তাদের সকল শক্তি প্রয়োগ করবে চীনের বীরুধে। ইউরোপ আমেরিকা যত বেশী চীন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে ঐ দুটি দেশ ততবেশি বন্ধুত্ব করতে চাইবে মুসলিম বিশ্বের সাথে। কারন মুসলিম বিশ্বের হাতেই রয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী প্রাকৃতিক সম্পদ।
বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ইরান ও পাকিস্তানের সাথে রয়েছে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। পশ্চিমা NATO জোট চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় চীন চাচ্ছে মুসলিম দেশগুলো যেন সামরিক দিক দিয়ে আরও শক্তিশালী হয় তাহলে মুসলিমরা অটোম্যাটিক ভাবেই পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে। চীনের আশা গত ২০০ বছর ধরে মুসলিমদের উপরে পশ্চিমাদের করা অত্যাচারের কথা মুসলিমরা কখনোই ভুলবে না। চীন নিজেও পশ্চিমা হামলার ভুক্তভোগী, পশ্চিমাদের কারনে চীনে ১০০ বছর ধরে চলা বিভিন্ন গৃহযুদ্ধে নিহত হয় প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি চিনা নাগরিক।
মুসলিমরা যদি সামরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী হয় তাহলে মুসলিম দেশের ভিতরে পশ্চিমাদের মাতবরি কমে আসবে অনেকটা। বন্ধ হয়ে যাবে মুসলিম দেশের উপরে চালানো সামরিক হামলা। দিতে পারবে না কোন ধরনের অবরোধ। আর পশ্চিমারা যদি অবরোধ দেয়ে তাহলে নিশ্চিত ভাবে এগিয়ে আসবে চীন সরকার। আমেরিকার দেওয়া অবরোধের কারনে ইরানের যখন টাকার দরকার হয় তখন এগিয়ে আসে চীন। দেশটি ইরানের সাথে একটি ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তি করে। এই চুক্তি মোতাবেক চীন ইরানে প্রায় ৪০০ ডলার বিনিয়োগ করবে এর বিনিময়ে ইরান চিনকে কম মূল্যে তেল সরবরাহ করবে।
পাকিস্তানের BRI প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ প্রায় ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগের পরিমান প্রায় ১০-১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও চীনের বিনিয়োগ রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, মালোশিয়া সুদান আলজেরিয়ার মত দেশেও।
চীন ও পশ্চিমাদের বিশ্ব মোড়লগিরির এই লড়াইয়ের ফলে দুই পক্ষই চাইবে মুসলিমদেরকে নিজেদের দলে নেওয়ার জন্য। এরফলে চীন ও পশ্চিমারা উভয়েই মুসলিম দেশগুলোকে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ও সামরিক সুবিদার দেওয়ার অফার দিবে। চীন ও পশ্চিমাদের সাথে এই লড়াই যত লম্বাসময় ধরে হবে মুসলিমদের লাভ হবে তত বেশী। এদের এই মোড়লগিরির লড়াইয়ের কারনে মুসলিম বিশ্বের উপরে কমে আসবে পশ্চিমাদের প্রভাব।
আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসলে চীনের সাথে বন্ধুত্ব করা কেন জরুরী?
আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসলে চীনের সাথে সম্পর্ক তৈরী করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বিশ্বে চীন হচ্ছে পৃথিবীর ২য় বৃহওম অর্থনীতির দেশ। আফগানিস্তানের মাটিতে ইসলামিক ইমিরাত অফ আফগানিস্তান প্রতিষ্ঠা হলে পশ্চিমারা অর্থনৈতিক অবরোধ দিবে আফগানিস্তানের উপর। তখন চীনই হবে একমাত্র দেশ যারা পশ্চিমা অবরোধ না মেনে অর্থনৈতিক লেনদেন চালিয়ে যেতে পারবে আফগানিস্তানের সাথে।
ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের মাটিতে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেনো দরকার হবে অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন। বর্তমানে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির অবকাঠামো খাত একেবারে ধ্বংস প্রাপ্ত। তখন চীনই একমাএ দেশ যারা বিনিয়োগ করতে রাজি হবে আফগানিস্তানের দেশটির অবকাঠামো খাতে। বিপরীতে পশ্চিমারা কখনোই কোন মুসলিম দেশে বিনিয়োগ করে না। ওরা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার নাম করে সরকারকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পাশাপাশি জুড়ে দেওয়া হয় হাজারো অনৈতিক শর্ত।
তালেবানরা যদি আফগানিস্তানের মাটিতে ইসলামিক সরকার তৈরী করে তাহলে ঐ সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য দরকার হবে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর। পশ্চিমারা কোনভাবেই চাইবে না আফগানিস্তানের মাটিতে একটি শক্তিশালী ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠা হোক। তখন চীনই হবে একমাএ দেশ যারা সাহায্য করতে পারবে আফগানিস্তানের সামরিক শক্তির উন্নয়নে। বর্তমানে উওর কোরিয়ার সকল সামরিক প্রযুক্তিই চীনের দেওয়া। তালেবান সরকার যদি চীনের সাথে ভালো বন্ধুত্ব পুর্ন সম্পর্ক বজায় রাখে তাহলে চীনও সামরিক ভাবেও সাহায্য করবে আফগানিস্তানকে।
এসব কারণে আফগানিস্তানের মাটিতে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেনো চীনের সাথে বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক স্থাপন করা অনেক জরুরী। আফগানিস্তানে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে এবং ফিরে আসবে শান্তি, এই কামনায় আশায় শেষ করছি আজকের ভিডিও। আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments